এসব লক্ষণ দেখে বুঝবেন শরীরে হাঁপানি বাসা বেঁধেছে

এসব লক্ষণ দেখে বুঝবেন শরীরে হাঁপানি বাসা বেঁধেছে

ঢাকাপ্রতিদিন স্বাস্থ্য ডেস্ক : সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার বিশ্ব হাঁপানি দিবস পালিত হয়। সেই হিসেবে ৬ মে পালিত হয়েছে হাঁপানি দিবস।

এই দিবসটি উদযাপনের উদ্দেশ্য হল হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সুস্থ জীবনযাপন এবং রোগের লক্ষণ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা।

আমরা হাঁপানির কারণ এবং লক্ষণ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব-

হাঁপানি হল একটি দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের রোগ। যা শ্বাসনালীতে প্রদাহ এবং সংকীর্ণতার কারণে ঘটে। এই রোগের কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।

যে কারণে হাঁপানি হয়

১. অ্যালার্জি

কিছু লোকের অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় বেশি। ধুলার কণা, পোষা প্রাণীর লোম, ছত্রাকের মতো অ্যালার্জেন হাঁপানির কারণ হতে পারে।

২. পারিবারিক ইতিহাস

যদি আপনার বাবা-মায়ের মধ্যে একজনের হাঁপানি থাকে, তাহলে যাদের বাবা-মায়ের হাঁপানি নেই তাদের তুলনায় আপনার হাঁপানি হওয়ার সম্ভাবনা তিন থেকে ছয় গুণ বেশি।

৩. ধূমপান

সিগারেটের ধোঁয়া শ্বাসনালীতে জ্বালা করে। ধূমপায়ীদের হাঁপানি হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় ধূমপান করা মায়ের হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

৪. ভাইরাল শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ

ভাইরাল শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত কিছু শিশু বড় হয়ে দীর্ঘস্থায়ী হাঁপানিতে আক্রান্ত হতে পারে।

৫. বায়ু দূষণ

বায়ু দূষণের সংস্পর্শে এলে হাঁপানির ঝুঁকি বেড়ে যায়। যারা বড় হয়েছেন বা শহরাঞ্চলে বাস করেন তাদের হাঁপানির ঝুঁকি বেশি থাকে।

কোন লক্ষণগুলিকে হালকাভাবে নেয়া উচিত নয়

১. শ্বাসকষ্ট বা শ্বাসকষ্টের দ্রুত অবনতি

২. ইনহেলার ব্যবহারের পরেও কোনও উন্নতি হয়নি

৩. কোন কাজ না করেই শ্বাসকষ্ট হওয়া

৪. শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য বুকের পেশীগুলির প্রসারণ

৫. অতিরিক্ত ঘাম হওয়া

৬. মুখ, ঠোঁট, বা নখের ফ্যাকাশে বা নীল রঙ পরিবর্তন হওয়া।

ঢাকাপ্রতিদিন/এআর

OR

Scroll to Top