সরকার পরিবর্তনের পর নতুন বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার চলছে। যদিও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন শেষ হয়েছে, তার প্রভাব এখনো সমাজে প্রতিফলিত হচ্ছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবিতে আন্দোলন ও ধর্মঘটের পথে হেঁটেছেন। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন বিজ্ঞাপন নির্মাতা ও প্রযোজকরা।
রোববার, ১ সেপ্টেম্বর থেকে বিজ্ঞাপন নির্মাতা ও প্রযোজকরা তিনটি দাবি আদায়ের লক্ষ্যে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছেন। তারা বিজ্ঞাপনী সংস্থা ও ক্লায়েন্টদের বিরুদ্ধে পূর্বের বকেয়া পরিশোধ, সময়মতো কাজের আদেশ (ওয়ার্ক অর্ডার) প্রদান, এবং ৭৫ শতাংশ অগ্রিম অর্থ পরিশোধের পর বাকি ২৫ শতাংশ বিলিংয়ের ৪৫ দিনের মধ্যে পরিশোধের দাবি তুলেছেন।
সম্পর্কিত
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাডফিল্ম অ্যান্ড কনটেন্ট প্রডিউসারস (বিএএসিপি) তাদের ধর্মঘটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং জানিয়েছে যে, বিজ্ঞাপনচিত্র শিল্পের ১১টি সংস্থা এই কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়েছে।
বিএএসিপি’র আহ্বায়ক মো. হাবিবুর রহমান তারেক বলেছেন, “আমরা বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোর সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেছি, কিন্তু কোনো সমাধান না আসায় বাধ্য হয়ে কর্মবিরতিতে গেছি।” তিনি আরও বলেন, নতুন বাংলাদেশে সংস্কারের যে ধারা চলছে, তাতে বিজ্ঞাপনচিত্র শিল্পেও সংস্কার হওয়া জরুরি। তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।
বিএএসিপি’র সদস্য হিসেবে দেশের ৬০টি প্রোডাকশন হাউস রয়েছে, যারা এই ধর্মঘটে অংশ নিচ্ছে। এছাড়া অ্যাডভার্টাইজিং অ্যান্ড ফিল্মমেকারস অ্যাসোসিয়েশন (এডিএফএ), বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স অব সিনেমাটোগ্রাফারস (বিএসি), পোস্ট প্রোডাকশন অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (পিএবি) এবং অন্যান্য সংগঠনও এই ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছে।