মিরপুরের পিচ নিয়ে অসন্তুষ্টি গোপন করল না বিসিবি

মিরপুরের পিচ নিয়ে অসন্তুষ্টি গোপন করল না বিসিবি

বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ক্রিকেট হয় মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। কিন্তু এই স্টেডিয়ামের পিচ নিয়ে অসন্তুষ্টিই সবচেয়ে বেশি। সদ্য সমাপ্ত পাকিস্তান সিরিজে পাকিস্তান দলের অধিনায়ক, কোচ বারবার সমালোচনা করেছেন মিরপুরের পিচে। মিরপুরের পিচ আন্তর্জাতিক মানের নয়, এমন কথাও এসেছে। মিরপুরের পিচে খেলে বেড়ে ওঠা একজন ব্যাটারের জন্য ক্যারিয়ার ধ্বংসের মতো, এমন কথা অনেকবার শোনা গেছে তামিম ইকবালসহ বাংলাদেশি ব্যাটারদের মুখেও। মিরপুরের পিচ নিয়ে অসন্তুষ্টি গোপন করল না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)।

সদ্য সমাপ্ত পাকিস্তান সিরিজে মিরপুরের পিচে মন্থরতা আরেকবার দেখা গেছে। অসমান বাউন্স, বল হঠাৎ নিচু হয়ে গেছে, বল থেমে থেমে এসেছে। এই পিচে ব্যাটিং করা সহজ নয়। আধুনিক ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টিতে যেখানে হরহামেশাই দুইশর কাছাকাছি রান উঠছে সেখানে মিরপুরের পিচে দেড়শ পারি দেওয়াই কঠিন।

পাকিস্তান সিরিজে তাই স্বাভাবিকভাবেই উঠে পিচ নিয়ে সমালোচনা। বোর্ড বলছে তাদের পক্ষ থেকে ভালো পিচ তৈরির বার্তাই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পিচ নির্দেশনামতো সেভাবে তৈরি হয়নি।

বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান নাজমুল আবেদিন ফাহিম বলেছেন, ‘আমি মনে করি একটি স্পোর্টিং উইকেট তৈরির চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু তা সফল হয়নি। এর দায়িত্ব তাদের ওপরই বর্তায়, যারা উইকেট তৈরি করে। কারণ আমাদের পক্ষ থেকে, বোর্ডের পক্ষ থেকে কখনো বলা হয়নি যে উইকেটকে লো অ্যান্ড স্লো করতে হবে।’

‘আমরা দেখেছি যখনই আমরা ভালো, বাউন্সি উইকেট চেয়েছি, তখন সেটি আমরা পাইনি। এর জন্য সাধারণত যে কারণগুলো দেখানো হয়, তা হলো মাটির প্রকৃতি, পরিবেশ কিংবা পিচে অতিরিক্ত ম্যাচ খেলা হয়ে যাওয়া।’- যোগ করেছেন তিনি।

মিরপুরের পিচ ভালো করার প্রতিশ্রুতি আগে যেমন বারবার দেওয়া হয়েছিল তেমনি নাজমুল আাবেদিন ফাহিমও দিলেন। বলেছেন, ‘সার্বিকভাবে মিরপুরের উইকেট সন্তোষজনক নয়, এটা আমরা সবাই স্বীকার করি। এ বিষয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। সম্ভবত পুরো মাটির স্তরটাই সরাতে হবে, অথবা পিচ তৈরির প্রক্রিয়া বদলাতে হবে। আমি আশা করি, শিগগিরই কিছু পরিবর্তন আসবে এবং আমরা মিরপুরে আরও ভালো উইকেট দেখতে পাবো’

OR

Scroll to Top