রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব কী ডায়াবেটিসের লক্ষণ

রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব কী ডায়াবেটিসের লক্ষণ

ঢাকাপ্রতিদিন স্বাস্থ্য ডেস্ক : সাধারণত ঘন ঘন প্রস্রাব করাকে ডায়াবেটিসের লক্ষণ মনে করা হয়। আবার এমন অনেকেই আছেন যারা রাতেও কিছুক্ষণ পরপর প্রস্রাব করেন। তাদের ক্ষেত্রেই একই ধারণা করা হয়। বিশেষ করে রাতে বারবার প্রস্রাব করা হলে অধিকাংশ মানুষই ধারণা করে নেন, তার ডায়াবেটিস হয়েছে।

প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে রাতে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যে একবারের বেশি বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। তবে কেউ কেউ গিয়ে থাকেন। যাকে নকটুরিয়া বলে থাকেন চিকিৎসকরা। যা ডায়াবেটিসের মতো সমস্যার সংকেত দিতে পারে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে ওয়েব এমডির প্রতিবেদনে।

এ থেকে কেন ডায়াবেটিস হতে পারে: ডায়াবেটিসের প্রাথমিক সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি বারবার প্রস্রাব করা। এমনকি এই লক্ষণ রাতেও হতে পারে। ডায়াবেটিস থাকলে এবং রক্তে যদি সুগারের পরিমাণ বেশি থাকে, তাহলে এটি কিডনিতে সমস্যা করতে পারে। এ জন্য কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন হয়। এ ধরনের সমস্যা থাকলে তাদের বেশি বেশি প্রস্রাব করতে হয়। আর ডায়াবেটিস কিডনি ও মূত্রাশয়েরও ক্ষতি করতে পারে।

অন্যান্য কারণেও রাতে প্রস্রাব হতে পারে: ডায়াবেটিস থাকলে শুধু প্রস্রাবের জন্য আপনাকে রাত জাগার প্রয়োজন হতে পারে। তবে এছাড়াও নানা কারণে প্রস্রাবের প্রয়োজন হতে পারে।

বয়স: বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শরীরে এমন হরমোন তৈরি হয়, যা রাতে আপনার প্রস্রাবের পরিমাণ সীমিত করে। এ ক্ষেত্রে বার্ধক্যজনিত কারণে মূত্রাশয় আপনার প্রস্রাব কতটা ধরে রাখতে পারে, এ কারণেও বারবার প্রস্রাব হতে পারে।

অত্যধিক মদপান: পানি বা ক্যাফেইন কিংবা অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় ঘুমানোর আগে খুব বেশি পান করা হলে মূত্রাশয় পূর্ণ হয়। এ কারণে রাতে বারবার প্রস্রাব করার প্রয়োজন হতে পারে।

ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস: টাইপ 1 বা টাইপ 2 ডায়াবেটিসের সঙ্গে সম্পর্কিত না থাকার পরও কিডনিজনিত সমস্যা থাকলে খুব বেশি প্রস্রাব হতে পারে।

এছাড়া মূত্রনালীর সংক্রমণ (ইউটিআই), হার্ট ফেইলিউর, গর্ভাবস্থা, দীর্ঘদিন ধরে কিডনির ব্যর্থতা, মূত্রাশয় বা প্রোস্টেট টিউমার, লিভারের ব্যর্থতা ও স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা থাকলেও রাতে বারবার প্রস্রাবের মতো সমস্যা হতে পারে।

অন্যান্য ডায়াবেটিসের লক্ষণ: ডায়াবেটিস থাকলে অন্যান্য উপসর্গও থাকতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে অধিক তৃষ্ণা পাওয়া, ভারি ক্ষুধা অনুভব, আপনাআপনি ওজন হ্রাস পাওয়া, চোখে ঝাপসা দেখা, ক্লান্তিবোধ, হাত-পায়ে খিঁচুনি বা অসাড় অনুভূতি এবং নিরাময় ধীর হওয়াসহ একাধিক সমস্যা থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করতে হবে।

কীভাবে নিশ্চিত হবেন: ডায়াবেটিস রয়েছে কিনা সেটি শনাক্ত করা জরুরি। এ রোগ গুরুতর এবং এটি অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাকে জটিল করে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
ঢাকা প্রতিদিন/এআর

 

OR

Scroll to Top