ঢাকাপ্রতিদিন স্বাস্থ্য ডেস্ক : পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে বৈচিত্র্যময় মাইক্রোবায়োম। চিকিৎসকেরা বলেন, ‘‘একটানা না খেয়ে থাকা অর্থাৎ রাতের খাবার এবং সকালের খাবারের মধ্যে যদি কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা বিরতি রাখা যায় তাহলে বৈচিত্র্যময় মাইক্রোবায়োম জীবাণুর পক্ষে ভালো।’’
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডা. জনসন বলেছেন, ‘‘যাদের মানসিক চাপ বেশি তাদের অন্ত্রে বৈচিত্র্যময় মাইক্রোবায়োম কম পরিমাণে থাকে। আবার যারা অনেক বেশি প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ করেন তাদের অন্ত্রেও এই ‘ভালো’ ব্যাকটেরিয়ার চেয়ে ‘খারাপ’ ব্যাকটেরিয়া বেশি থাকে।’’
পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখার ক্ষেত্রে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন খাবার খাওয়ার গুরুত্ব রয়েছে। যেসব খাবার গ্রহন করে পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারেন।
কাঁচা কলা : কাঁচা কলা এমন একটি সবজি যা অন্ত্র বা পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে। এতে থাকা আঁশ অনেকক্ষণ ক্ষুধা লাগতে দেয় না। ফলে ওজন যেমন নিয়ন্ত্রণে থাকে আবার রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্যেও কাঁচা কলা ভালো। কাঁচা কলার রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ প্রিবায়োটিক পেটের জন্য ভালো।
আপেল : পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন প্রিবায়োটিক। যা আছে আপেলে। এই ফলটি পেটের নানাবিধ সমস্যা মোকাবিলা করে। গ্যাসের সমস্যা কমিয়ে দেয়। তবে চিকিৎসকেরা বলেন, একটানা প্রতিদিন আপেল খেলে সমস্যাও তৈরি হতে পারে। মাঝে মাঝে বিরতি দিয়ে খেতে পারেন।
মধু : পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে মধু। এতে থাকা ওলিগো-স্যাকারাইড প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। যা অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া ল্যাকটোবেসিলি ও বিফিডোব্যাকটেরিয়ার উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়।
কোকো পাউডার : পেটের স্বাস্থ্যের জন্য বালো কোকো পাউডার সমৃদ্ধ খাবার। এটি প্রিবায়োটিক হওয়ায় পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে।
তিসি : পেটের ইলাস্টিসিটি বাড়াতে পারে তিসি। এতে থাকা ফেনলিক কম্পাউন্ডের প্রিবায়োটিক অন্ত্রের সংকোচন-প্রসারণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। ফলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়।
লাল রঙের খাবার: যেকোনো ধরণের লাল রঙের খাবার যেমন- লাল আটা, চাল, ময়দা প্রিবায়োটিকের অনেক বড় উৎস। এসব অ্যারাবিনক্সিলান ওলিগোস্যাকারাইড থাকে। এসব উপাদান অন্ত্রের বিফিডো ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে অন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
পেঁয়াজ ও রসুন : কাঁচা রসুনের কোয়া খাওয়া পেটের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কারণ রসুনের প্রিবায়োটিক বিফিডোব্যাকটেরিয়ার উৎপাদন বৃদ্ধি করে। ফলে ব্যাকটেরিয়াজনিত পেটের রোগ প্রতিরোধ করা সহজ হয়। এ ছাড়া পেঁয়াজও ভালো প্রিবায়োটিক।
ঢাকাপ্রতিদিন/এআর